আপনার কেন (SEO) এসইও শেখা উচিত

বন্ধুরা স্বাগতম, আপনি কি নতুন ব্লগার এবং (SEO) এসইওতে নতুন? এখানে আমি আপনাকে বলতে যাচ্ছি কেন আপনার সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) শেখা উচিত। আপনি যদি একজন ব্লগার, ব্যবসায়ী, ডিজিটাল মার্কেটার, ফ্রিল্যান্সার হন বা অনলাইন থেকে আয় করতে চান, আপনাকে অবশ্যই…

বন্ধুরা স্বাগতম, আপনি কি নতুন ব্লগার এবং (SEO) এসইওতে নতুন? এখানে আমি আপনাকে বলতে যাচ্ছি কেন আপনার সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) শেখা উচিত।

আপনি যদি একজন ব্লগার, ব্যবসায়ী, ডিজিটাল মার্কেটার, ফ্রিল্যান্সার হন বা অনলাইন থেকে আয় করতে চান, আপনাকে অবশ্যই এসইও শিখতে হবে। আমি আপনাকে এসইও শেখার ৫টি কারণ সংক্ষেপে বলছি।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন – এসইও (SEO) কি

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হচ্ছে এমন কিছু কাজ যার দ্বারা আপনার ওয়েবসাইটকে সার্চ ইন্জিন রেজাল্ট পেইজের প্রথম দিকে দেখানোর জন্য চেষ্টা করা হয় যখন ভিজিটর কোন নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করবে।

আমরা যখন কোন কিছু অনলাইনে খুঁজি, আমরা Google Search, Yahoo Search ও Bing Search ইত্যাদি ব্যবহার করি।

মোবাইল কিনবো? গুগলে সার্চ করি “best mobile phones under 15000”। পেয়ে যাই কিছু ওয়েবসাইটের লিষ্ট। আপনিও নিশ্চয় এমন অনেক কিছু গুগলে সার্চ করছেন নিয়মিত।

ধরুন, মোবাইল একসেসরিজ নিয়ে আপনার একটি ব্লগ আর্টিকেল আছে। যখন কেউ ‘useful mobile accessories’ লিখে গুগলে সার্চ করবে, আপনি চান আপনার ব্লগপোস্টটি সার্চ রেজাল্টে ১ম লাইনে দেখাতে।

কেন এসইও শেখা উচিত

তাই আপনাকে এমনভাবে আর্টিকেল লিখতে হবে, এমন কিছু কাজ করতে হবে যাতে আপনার লেখাটি সার্চ রেজাল্ট পেইজের প্রথমে দেখায়।

এসইও (SEO) হচ্ছে এমন সব কাজের সমষ্টি, আপনার কনটেন্টকে সার্চ রেজাল্টের প্রথমে আনার জন্য আপনাকে করতে হয়।

এসইও শেখার ৫ টি কারণ

আপনি ব্লগার, ব্যবসার মালিক, কোন পন্য বা সেবা বিক্রেতা যাই হন না কেন, আপনার অবশ্যই এসইও শেখা উচিত।

এখনো অনলাইন থেকে ভিজিটর বা কাস্টমার পাওয়ার সবচেয়ে বড় উৎস হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন। আপনার ওয়েবসাইট থাকার কোন কারণই নেই যদি অর্গানিক সার্চ থেকে কোন ভিজিটর না থাকে।

আসুন জেনে নেই এসইও শেখার গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলো।

১. বিনা খরচে কাস্টমার পাওয়া

ফেইসবুক সেলস প্রমোশন বা বুস্ট থেকে আপনার কোন কাস্টমার পেতে আপনার অনেক খরচ হবে। এতে বিক্রয় প্রতি আপনার ব্যয় বেড়ে যাবে, যার কারণে আপনি দীর্ঘ মেয়াদে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবেন না।

সার্চ ইঞ্জিন ছাড়া বেশি পরিমাণ কাস্টমার পাওয়ার কোন বিকল্প নেই। কিন্তু সার্চ ইঞ্জিনে ভিজিটর পেতে আপনার এসইও করতে হবে।

বর্তমানে ওয়েবসাইট ও প্রতিযোগী বেড়ে যাওয়ার কারণে এসইও অনেক প্রতিযোগিতাপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এসইও করার খরচ অনেক বেশি।

যদি আপনি নিজেই এসইও জানেন, আপনি আপনার সাইটের এসইও নিজেই করতে পারবেন। এতে এসইও এক্সপার্ট নিয়োগ করার বড় একটা খরচ বাচবে যেটা আপনি আপনার ব্যবসায়ের চলতি মূলধনে বিনিয়োগ করতে পারবেন।

২. বিক্রয় ও মুনাফা বৃদ্ধি

যখন আপনার এসইও সম্পর্কে জ্ঞান থাকবে, আপনি সার্চ ইঞ্জিন থেকে প্রচুর ভিজিটর পেতে পারেন। সার্চ ভিজিটররাই সম্ভাব্য কাস্টমার।

খুব সহজেই আপনি সার্চ ইঞ্জিন থেকে প্রতিদিন 400 থেকে 500 ভিজিটর পাবেন। যদি আপনার ভিজিটরের মাত্র ২% আপনার পন্য বা সেবা কিনে থাকে তাহলে আপনার প্রতিদিন ৮/১০ টি বিক্রয় হবে। তাহলে আপনি এসইও শিখবেন না কেন?

আপনি যদি একজন ব্লগার হন এবং বিজ্ঞাপন বা গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে চান, আপনার অবশ্যই গুগল সার্চ থেকে ভাল পরিমাণ ভিজিটর থাকতে হবে। এটা তখনই সম্ভব হবে যখন আপনি SEO জানবেন। আপনি মাত্র ২০/২৫ হাজার ভিজিটর থেকে প্রায় হাজার ডলার উপার্জন করতে পারেন।

৩. ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেল

বর্তমানে মানুষ ডিজিটাল ডিভাইসে তার বেশিরভাগ সময় ব্যয় করছে। এখন তারা মোবাইল আর কম্পিউটারের বাইরে আর তাকাচ্ছেই না। তাই ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এখন আর খুব কার্যকরী থাকছেনা। এই কারণে বিজনেস ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের উপর নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছে। এসইও ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম বা চ্যানেল।

পড়তে পারেন- ডিজিটাল মার্কেটিং কী

যদিও পেইড এ্যাডভারটাইজিং আপনাকে সাহায্য করতে পারে, এসইও তার চেয়ে বেশি সাহায্য করবে এবং এটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। এসইও ছাড়া সফল মার্কেটিং কখনও সম্ভব হবেনা।

একজন ডিজিটাল মার্কেটারের অবশ্যই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের টেকনিক্যাল জ্ঞান থাকতে হবে। যখন আপনি সঠিকভাবে এসইও টেকনিক প্রয়োগ করতে পারবেন, আপনি আপনার প্রতিযোগীকে হারিয়ে যে কোন ধরণের কাস্টমার পাবেন।

তাছাড়া, আপনার যদি ব্যবসা না থাকে। আপনি বিভিন্ন স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের (Local Business) এর এসইওর কাজ করেও আয় করতে পারেন।

আপনি নিজের একটি ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি ব্যবসা দাঁড় করিয়ে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে আপনার সেবা অফার করতে পারেন।

এসইও আপনাকে এমন ক্ষমতা এনে দিবে, আপনার প্রায় যা ইচ্ছা আপনি তাই করতে পারবেন।

৪. দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ

আপনি কি জানেন এসইও একটি দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ। যখন আপনি এসইও শিখতে আর প্রয়োগ করতে আপনার অনেক ঘন্টা, দিন আর মাস ব্যয় করছেন, আপনার এই সময় এবং শ্রম আপনার একটি বিনিয়োগ।

আপনি স্বল্পমেয়াদে হয়তো তৎক্ষণাত এসইও থেকে কোন ফল পাবেন না। আপনাকে কমপক্ষে ৬ মাস ধৈর্য্য রাখতে হবে আপনার ফল পাওয়ার জন্য। আপনাকে সবসময় আপনার অপটিমাইজেশন প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে হবে। কখনোই আশাহত হওয়া যাবেনা।

যখন ধীরে ধীরে সার্চ হতে ভিজিটর পেতে শুরু করবেন, মানুষ আপনার ব্যবসা সম্পর্কে জানতে শুরু করবে। আপনার ব্যবসার প্রতি সুনাম ও বিশ্বাস তৈরি হতে থাকবে। এভাবে আপনি দীর্ঘমেয়াদে অনলাইনে আপনার একটি টেকসই অবস্থান তৈরি হবে।

৫. অনলাইনে সুনাম প্রতিষ্ঠা

অনেকেই বলে থাকেন, ব্যবসার জন্য এসইওর কোন প্রয়োজন নেই প্রয়োজন বিজ্ঞাপনের। আমার মতে, তারা জানেনা একমাত্র এসইও অনলাইনে সুনাম বৃদ্ধি করে।

যখন আপনি খরচ করে বিজ্ঞাপন দিবেন, ভিজিটর জানবে যে আপনি টাকা খরচ করে মার্কেটিং করছেন বা বিক্রয় বাড়াচ্ছেন। এতে আপনার ব্যবসার উপর তাদের আস্থা জন্মাবেনা।

যদি কোন ভিজিটর কিওয়ার্ড সার্চ করে আপনার ওয়েবসাইট খুঁজে পায় এবং ভিজিট করে, সার্চ ইঞ্জিন আপনার সাইট বা ব্র্যান্ডকে ওই কিওয়ার্ডের জন্য র‌্যাংক দিতে শুরু করে। তখন ভিজিটররা মনে করে, আপনার সাইট বা ব্র্যান্ড নিশ্চয় গুনগত মান সম্পন্ন। তা নাহলে সার্চ ইঞ্জিনে র‌্যাংক পেতেন না।

ফলে তারা আপনার ওয়েবসাইট বা ব্র্যান্ডকে মনে রাখে এবং বার বার আপনার সাইটে আসবে।

এভাবেই, দিন দিন আপনার ওয়েবসাইটের জনপ্রিয়তা ও সুনাম প্রতিষ্ঠা পাবে। এটি আপনি পেইড বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কখনই পাবেন না।

পড়ুন- ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়

আশা করি আপনি ইতিমধ্যে বুঝতে পেরেছেন কেন SEO এসইও এত গুরুত্বপূর্ণ।  ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে চাইলেও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন শিখতে পারেন। আপনি যেই হোন না কেন, একজন ফ্রিল্যান্সার, ওয়েবসাইটের মালিক, ব্লগার বা মার্কেটার আপনার এসইও সম্পর্কে জ্ঞান থাকতেই  হবে

আপনি যদি এসইও শিখতে চান, আমার এই ব্লগ থেকে বিনামূল্যে এসইও শিখতে পারেন।

ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। আর বাম পাশের বেল আইকনে ক্লিক করে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন পরবর্তী টিউটোরিয়াল ও ব্লগ আপডেটের জন্য।

Similar Posts