ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়

ব্লগিং থেকে সীমাহীন আয় করা সম্ভব। জানুন ব্লগিং করে বিশ্বের অন্যান্য ব্লগাররা কত টাকা আয় করেন এবং কিভাবে ব্লগিং করে আয় করা যায়।

ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়? এই প্রশ্নের উত্তর কেউ সঠিকভাবে দিতে পারবেনা। ব্লগিং থেকে সীমাহীন আয় করা সম্ভব এখানে আয়ের কোন সীমারেখা নেই। প্রশ্ন হতে পারে, অন্য পেশাজীবি যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা অন্য উচ্চপদস্থ কোন চাকরিজীবি যেমন আয় করে তেমন আয় কি করা সম্ভব? উত্তর অবশ্যই সম্ভব। বরং তার চেয়ে অনেকগুন বেশি আয় করা সম্ভব।

এখানে আমি আপনাকে কিছু তথ্য শেয়ার করব যাতে আপনি অনুমান করতে পারেন ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা সম্ভব।

ব্লগিং এর ধরণ ও সময় অনুযায়ী আয়ের পরিমাণ ভিন্ন হয়। আপনি যদি বাংলায় ব্লগ লিখেন আপনি বর্তমানে খুব বেশি আয় করতে পারবেন না। আর যদি ইংরেজিতে ব্লগ লিখে আপনি ভাল আয় করতে পারবেন।

পড়তে পারেন- ব্লগিং কী ও ব্লগিং সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা

ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়?

খুব আন্তরিকভাবে ব্লগিং করলে বাংলা ব্লগ হতে প্রথম ২ বছর আপনি হয়তো বছরে 300 থেকে 400 ডলার আয় করতে পারবেন, আর ইংরেজি ব্লগ হতে 2000 থেকে 3000 ডলার আয় করতে পারবেন। আমার অভিজ্ঞতা অনুসারে,  আপনি ব্লগ শুরু করার ১ থেকে ২ বছর আপনার আয় সীমিত হবে।

কিন্তু ব্লগিংয়ের বিষয়ের Advertising Value যদি বেশি হয়, পাশাপাশি আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং ও এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জ্ঞান যদি থাকে আপনি এর চেয়ে অনেক বেশি আয় করতে পারেন। এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যপার।

ব্লগে আপনার কনটেন্ট বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে, আপনার ভিজিটরও বাড়বে। সেই সাথে আপনার ব্লগ থেকে আয় দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকবে।

আমি ব্লগিংকে ব্যবসায়ের সাথে তুলনা করি। ব্যবসায়ে যেমন প্রথমে আপনাকে প্রচুর শ্রম ও মুলধন বিনিয়োগ করতে হয় কিন্তু সেসময় আপনি প্রচুর মুনাফা পান না। একইভাবে ব্লগিংয়ের শুরুতেও আপনাকে অনেক শ্রম দিতে হবে, কিন্তু আপনি কোন আয় করতে পারবেন না। আপনার আয় করতে হয়তো বছর-দুবছর লেগে যেতে পারে।

অনেকেই ব্লগিং করেন আয়ের জন্য নয় বরং তার আবেগ (Passion) থেকে। আপনি ব্লগিং করে তখনেই সফল হতে পারবেন যদি ব্লগিংয়ের টপিক নিয়ে আপনার আবেগ বা Passion থাকে।

এখানে আমি ২০২২ সালের কিছু ব্লগারের নাম ও তাদের আয়ের পরিমাণ উল্লেখ করছি আপনার অনুমানের জন্য যে ব্লগিং নিয়ে আসলে কেমন আয় করা যায়।

সেরা আয়ের ১০ জন ব্লগারের নাম ও আয়ের পরিমাণ

1Ryan Robbinson, timothysykes.com$50,000
(৫০,৬৯,৫৩০ টাকা প্রায়)
2Trevor and Jennifer Debth, showmetheyummy.com$46,000
3Abby Lawson, justagirlandherblog.com$41,000
4Darren Rowse, problogger.com$40,000
5Yaro Starak, yaro.blog$40,000
6Laura Vitale, laurainthekitchen.com$35,000
7Brett and Kate Mckay, artofmanliness.com$33,000
8Holly Johnson, clubthrifty.com$21,566
9Gina Horkey, fullybookedva.com$20,492

Information source: FounderJar

পড়ুন- ব্লগিং শুরু করার আগে যা জানা উচিত

ব্লগিং হতে আয় কিসের উপর নির্ভর করে

ব্লগ হতে আয় কেমন হবে তা নির্ভর করে আপনার ব্লগের ট্র্যাফিক/ ভিজিটর ও ব্লগিংয়ের বিষয়/ ধরণের উপর। এছাড়া আপনি কোন পদ্ধতিতে আয় করছেন তার উপরেও অনেকাংশে নির্ভর করে।

অনেকেই মনে করেন, ব্লগিং মানে শুধুমাত্র গুগল এ্যাডসেন্স (Google Adsense) বিজ্ঞাপন দিয়ে আয় করা। ব্লগ থেকে আয় করার সবচেয়ে ক্ষ্রদ্র উৎস হচ্ছে Google Adsense । আপনি যদি ব্লগিংয়ের ক্ষমতা ও সুযোগগুলো জানেন ও কাজে লাগাতে পারেন, আমি বলছি আপনি Google Adsense কে ভুলে যাবেন।

নিচের বিষয়গুলোর উপর ব্লগের আয় নির্ভর করে থাকে।

  • ভিজিটর (Traffic)- আপনার ব্লগের ভিজিটর যত বেশি হবে আপনার আয়ের পরিমাণ ও তত বেশি হবে। আপনি যেভাবেই আয় করতে চান না কেন, ভিজিটর ও সব। ভিজিটর বাড়লেই আপনার সাইটের জনপ্রিয়তা, বিক্রয় ও ক্লিক বাড়বে।
  • সিপিসি (CPC- Cost Per Click)- CPC হচ্ছে ক্লিক প্রতি ব্যয় যেটা বিজ্ঞাপনদাতারা (Advertisers) গুগলকে পরিশোধ করে। আপনি যে বিষয় নিয়ে ব্লগ লিখছেন সে বিষয় বা টপিকের বিজ্ঞাপন ভ্যালু কেমন। ওই টপিকের উপর কি পরিমাণ বিজ্ঞাপন দাতা (Advertiser) রয়েছে, তার উপর CPC Rate নির্ভর করে। Advertiser রা তাদের বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য, একজন অন্যজনের থেকে বেশি CPC অফার করে Bid করে। এভাবে Advertiser দের Bidding এর মাধ্যমে CPC বৃদ্ধি পায়। আর, আপনার কনটেন্টের সিপিসি বেশি হলে আপনার আয়ও বেশি হবে।
  • সিটিআর (CTR- Click Through Rate)– ভিজিটরের পরিমাণ অনুপাতে ক্লিকের পরিমান কে CTR বলা হয়। আপনার ব্লগের ক্লিকের পরিমাণ বেশি হয়ে থাকে আপনার আয়ের পরিমাণ ও বেশি হবে।
  • স্পন্সরশিপ (Sponsorship)– আপনি আপনার ব্লগে যদি কোন স্পন্সরড কনটেন্ট পাবলিশ করেন, আপনি তা হতে অনেক ভাল পরিমাণ আয় করতে পারবেন।
  • আয়ের পদ্ধতি (Earning Methods)– আপনি কোন পদ্ধতিতে আয় করবেন তার উপরও আয়ে পরিমাণ নির্ভর করে। শুধুমাত্র বিজ্ঞাপন হতে আপনার আয় খুবই সীমিত হবে। পাশাপাশি আপনি যদি Sponsored Content, সরাসরি বিজ্ঞাপন (Direct Advertising), Affiliate Marketing, Product or Service Sale করে থাকেন আপনার আয় অনেক পরিমাণে বেড়ে যাবে।
  • এসইও এবং মার্কেটিং জ্ঞান (SEO and Marketing Knowledge)– ব্লগিং ক্ষেত্রটি খুবই প্রতিযোগিতামূলক। যখন আপনার মধ্যে Search Engine Optimization -SEO এবং ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের দক্ষতা থাকবে, তখনই আপনি টিকে থাকতে পারবেন। প্রফেশনালভাবে ব্লগিং করতে অবশ্যই এই টেকনিক্যাল জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। শুধুমাত্র তখনই আপনি ব্লগিংয়ের সকল ক্ষমতা ও সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারবেন এবং আপনি সর্বোচ্চ আয় করতে পারবেন।

কিভাবে ব্লগ থেকে আয় করা যায়

ব্লগ থেকে আয় করার অনেকগুলো মাধ্যম আছে। ব্লগিং শুধুমাত্র একক কোন আয়ের উৎস নয়। আপনি একই ব্লগ দিয়ে বিভিন্ন উৎস হতে আয় করতে পারবেন। সব কিছুর জন্য প্রয়োজন হবে, আপনার দক্ষতা ও জ্ঞান।

সাধারণত সবাই মনে করে, ব্লগ করার উদ্দেশ্যই হচ্ছে গুগল এ্যাডসেন্সে ব্লগ Monetization (মনিটাইজেশন) করে আয় করা। কিন্তু অনেকেই ব্লগিং শুরু করে শুধু মাত্র নিজের Passion থেকে। কেউ করে কাস্টমারকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য, কেউ করে এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য।

পড়ুন- কিভাবে ব্লগিং শুরু করবেন

ব্লগ থেকে আয় করার কিছু উপায় নিয়ে আমি সংক্ষেপে বলছি।

গুগল এ্যাডসেন্স (Google AdSense)

ব্লগ থেকে আয় করার সবচেয়ে সাধারণ মাধ্যম হচ্ছে, গুগল এ্যাডসেন্স। আসুন জানি গুগল এ্যাডসেন্স কি।

Google AdSesne হচ্ছে গুগলের একটি Online Advertising Company । বিশ্বের বিভিন্ন নামী দামী বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও ইউটিউব ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেয়ার জন্য Google AdSense টাকা নেয়। এরপর, যাদের ওয়েবসাইট ও ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়, তাদেরকে ওই টাকার একটা বড় অংশ দেয়া হয়।

আপনি আপনার ব্লগে Google AdSense এর বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করতে পারেন। সকল Advertising Company গুলোর মধ্যে, Google Adsense খুবই জনপ্রিয় এবং ভালো CPC Rate দেয়।

পড়তে পারেন- কিভাবে ব্লগ থেকে গুগল এ্যাডসেন্সের মাধ্যমে আয় করবেন

এফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)

ব্লগ থেকে আয়ের সবচেয়ে ভাল, লাইফটাইম আয়ের একটি উৎস হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং। এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে অন্য কোন কোম্পানীর পন্য বা সেবা কাউকে রেফার করে কিনতে উৎসাহী করা। যখন কোন ভিজিটর আপনার রেফারাল লিংক হতে পন্য বা সেবাটি কিনবে, আপনি ওই বিক্রয়মূল্যের একটা অংশ আয় করতে পারবেন। অর্থাৎ ওই কোম্পানী আপনাকে একটি নির্দিষ্ট হারে কমিশন পাবেন।

বিভিন্ন কোম্পানী, Amazon, Aliexpress, Flipkart, Daraz, সহ প্রায় সব কোম্পানীর এফিলিয়েট প্রোগ্রাম রয়েছে।

Affiliate Marketer হিসেবে কাজ করার জন্য আপনাকে ওই কোম্পানীর ওয়েবসাইটে গিয়ে, আবেদন করতে হবে। বেশিরভাগ ওয়েবসাইট 2/3 দিনের মধ্যে তাদের রিভিউ জানিয়ে দেয়। আপনার আবেদন অনুমোদন  পাওয়ার সাথে সাথে আমি প্রোডাক্ট রেফার করে বিক্রি করা শুরু করতে পারবেন।

এছাড়া আপনি Affiliate Network কোম্পানীগুলোর মাধ্যমেও আপনি এফিলিয়েট হিসেবে রেজিষ্ট্রেশন করে কাজ শুরু করতে পারবেন।

যেসব ব্লগাররা খুব বেশি পরিমাণ আয় করেন, তারা প্রধানত এফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) এর মাধ্যমেই আয় করে থাকেন।

পড়ুন কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবেন

পন্য বা সেবা বিক্রয়

আপনার যদি বিক্রয় করার মত কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস থাকে তা বিক্রয় করেও আপনি আয় করতে পারেন। ধরুন আপনি গ্রাফিক ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, বা অন্য যে কোন স্কীল আপনার আছে। এ বিষয়ে আপনি লেখা লেখি করার পাশাপাশি ভিজিটরদেরকে আপনার ডিজাইন বা সার্ভিস অফার করেও আয় করতে পারেন।

যদি আপনার কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নাও থাকে, আপনি ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করেও বিক্রয় করতে পারেন। যেমন, ইবুক, গ্রাফিক ডিজাইন, এনিমেশন ভিডিও, কুকিং রেসিপি বই, ভিডিও লেসন ইত্যাদিও সেল করতে পারেন।

অনলাইনে কোর্স বিক্রয়

আপনি যদি শিক্ষক, ট্রেইনার বা কোন দক্ষতা থাকে আপনি সেই বিষয়ে ভিডিও লেসন বা ব্লগের মাধ্যমে কোর্স তৈরি করে বিক্রয় করতে পারেন।

আপনি যেহেতু ব্লগিং করছেন, এই ক্ষেত্রেও আপনার স্কিল রয়েছে। স্কিল ছাড়া অনলাইনের কোন উৎস থেকেই আপনি আয় করতে পারবেন না। কোন না কোন বিষয়ে আপনার বিশেষজ্ঞ লেভেলের নলেজ না থাকলে আপনি ব্লগিংয়ে ও সফল হতে পারছেন না। তাই আপনার যে স্কিল ই থাকুন না কেন, আপনি তা নিয়ে কোর্স তৈরি করতে পারেন এবং তা অনলাইনে বিক্রয় করে আয় করতে পারেন।

স্পন্সরড কনটেন্ট

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থের বিনিময়ে তাদের পন্য বা সেবা সম্পর্কিত ভিডিও বা ব্লগ আপনার সাইটে প্রকাশ করতে পারেন। জনপ্রিয় ব্লগারদের এধরণের আয় অনেক বেশি করে থাকেন।

অনেকক্ষেত্রে আপনার সম্পুর্ণ ব্লগটিতেই আপনি স্পন্সরশীপ নিতে পারেন। যেমন বাংলাদেশে, Robi 10Minute School রবির স্পন্সরড একটি ওয়েবসাইট।

স্পন্সরড কনটেন্ট, পোষ্ট পাবলিশ করার জন্য বিভিন্ন সাইট রয়েছে, যেখানে আপনি আপনার ব্লগ রেজিষ্ট্রেশন করবেন এবং Advertiser রা আপনার সাইটে কনটেন্ট পাবলিশ করার জন্য অর্ডার করবে।

সরাসরি বিজ্ঞাপন (Direct Advertising)

আপনার ব্লগ জনপ্রিয় হলে, অন্য ওয়েবসাইট, ব্র্যান্ড বা প্রতিষ্ঠান আপনার সাইটে সরাসরি তাদের বিজ্ঞাপন দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করবে। আপনি মাসিক বা বাৎসরিক পেমেন্টের বিনিময়ে তাদের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করবেন।

আবার অনেক প্রতিষ্ঠান অর্থের বিনিময়ে আপনার ওয়েবসাইটে Link Advertising ও করতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার কোন ব্লগ পোষ্টের মধ্যে ওই প্রতিষ্টানের লিংক সেট করবেন। Link Advetising এর ক্ষেত্রে Google ও Bing এর রুল মেনে চলতে হবে। তা না হলে, আপনার সাইটের র‌্যাংকিং নষ্ট হতে পারে।

পন্যের রিভিউ (Product Review)

আপনার ব্লগে অনেক ভিজিটর থাকলে বিভিন্ন ব্র্যান্ড বা কোম্পানীর কাছে তাদের প্রোডাক্ট নিয়ে রিভিউ করার অফার করতে পারেন। এভাবে বিভিন্ন ব্র্যান্ড বা কোম্পানীর পন্যের রিভিউ করার জন্য তাদের কাছ থেকে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

টেকনোলোজি, হেলথ এবং ফ্যাশন ব্লগারদের এক্ষেত্রে অনেক সুযোগ থাকে। বর্তমানে আপনার স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন অনলাইন শপ, ফেইসবুক শপ রয়েছে। খুব সহেজেই, গুগল ও ফেইসবুকে সার্চ করেই আপনি এসব প্রতিষ্ঠান খুুঁজে পাবেন।

শেষকথা

আশা করি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন যে ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়। যদি আপনি ব্লগিং নিয়ে আগ্রহী হন এবং ব্লগিং থেকে আয় করার ইচ্ছা জাগে নিচের ব্লগগুলো পড়তে পারেন।

পরের ব্লগ প্রকাশিত হওয়ার সাথে নোটিফিকেশন পেতে সাইন আপ করে রাখুন। ভাল থাকুন, ধন্যবাদ।

ব্লগিং সম্পর্কে আরও পোস্ট

ব্লগিং সম্পর্কে ধারণাব্লগিং কি
ব্লগিং শুরু করার উপায়কিভাবে ব্লগিং শুরু করবেন

Similar Posts